শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ: আওয়ামী যুবলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতির দেওয়ার ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি বলেন, আমার রক্তে-মাংসে জয় বাংলা, বঙ্গবন্ধু মিশে আছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমি জয় বাংলার লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক।
রবিবার চেম্বার থেকে ফেসবুক লাইভে ব্যারিস্টার সুমন এ কথা বলেন। তিনি বলেন, যারা আমাকে অনেক আশা করে পদ দিয়েছিলেন তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় আমি কষ্ট পেয়েছি। আপনারা জেনেছেন গতকাল (৭ আগস্ট) আমাকে আওয়ামী যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অনেকেই আমার কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছেন। আমি আপনাদের বলতে চাই, এখানে প্রতিক্রিয়াটা খুবই পজিটিভ। আমি বিশ্বাস করি দল যখন কোনো সিদ্ধান্ত নেয়, দলের ভালো হবে এ চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তে আমার কোনো দ্বিমত নেই। আমি বিশ্বাস করি দল তার ভালোর জন্যই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
‘আমি আরেকটি কথা বলতে চাই। বাংলাদেশ, জয় বাংলা, বঙ্গবন্ধু- এটি (একে অপরের সঙ্গে) ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। যারা জয় বাংলা এবং বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে না তাদের নৈতিকভাবে কোন অধিকারই থাকে না বাংলাদেশে থাকার। কারণ, আমাদের বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। জাতির জনক। আমি শুধু এই কথাটুকু বলার চেষ্টা করেছি, এটা বুকে ধারণ করতে হয় এবং জয় বাংলা এবং বঙ্গবন্ধু এই স্লোগান সব সময়ই হবে বাংলাদেশের স্বার্থে, আওয়ামী লীগের স্বার্থে, আপামর মানুষের স্বার্থে।’
সুমন বলেন, ‘আরেকটি কথা বলতে চাই, আজ আমার মা আমাকে জিজ্ঞেস করেছেন যুবলীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার কারণে আমার মন খারাপ হয়েছে কি না? আমি আমার মাকে উত্তর দিয়েছি এই পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আমার মন খারাপ হয়নি। আমার মন খারাপ হয়েছে যারা আমাকে খুব আশা করে এই পদে নিয়ে এসেছিলেন- আপনারা জানেন, এইবারের যুবলীগের মধ্যে কোনো ধরনের লুটপাট করে বা লেনদেন করে কেউ নেতা হননি। সবাই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য এবং যোগ্যতার কারণে নেতা হয়েছে।
আমি মাকে বলেছি, তারা আশা করে আমাকে নিয়ে আসছিলেন। বিশেষ করে শেখ ফজলে শামস পরশ ভাই, সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভাই এবং যার কথা না বললেই নয় অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি আপা (শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী)। যিনি উচ্ছ্বসিতভাবে আমার প্রশংসা করেন। আমি তাদের ঋণ কখনও শোধ করতে পারব না। আমি বিশেষ করে ক্ষমাপ্রার্থী যারা আমাদের দল করেন বা একই আদর্শের সৈনিক তারা যদি কোনো কারণে কষ্ট পেয়ে থাকেন। তবে একটা বলতে চাই, আজকে আমাকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। হয়তো এক-দুই বছর পরে এমনিতে এই কমিটি থাকবে না। কিন্তু আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জয় বাংলার লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোক।
‘কেউ যদি বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করেন তাকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোকই বলা হবে। বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন বাংলাদেশর মানুষের জন্য। তাই আমি বলি, পদে না থাকলেও আমার রক্তে-মাংসে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধুর মশাল জ্বালিয়ে রাখব। আমি আপনাদের কাছে দোয়া চাই। আমার ব্যক্তিগত কর্ম দ্বারা যেন সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগের কোনো লোককে খারাপ মনে না করে। মানুষের মনে যদি আমার কাজকর্ম দ্বারা সম্মান বাড়াতে পারি, আমার বিশ্বাস আওয়ামী লীগের সুনাম হবে।’